আল্লাহ মুনাফিক থেকে আমাদেরকে, আমাদের দেশকে হেফাজত করুন।

১। উপদেষ্টা হয়েই মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ, বঙ্গভবন থেকে সরালেন বঙ্গবন্ধুর ছবি।

২। আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মোস্তফা ফারুকীর উপদেষ্টা করার প্রতিবাদে বলেছেন, এই লোক ধানমন্ডি ৩২ নম্বর প্রেমী।

 

মোস্তফা ফারুকীর পুরোসময় লাল আন্দোলনের সাথে ছিলো, বিগত সরকার, সরকার প্রধানের কড়া সমালোচনা করেছেন, এখনো করেন। এই সব ছাপিয়ে - ফারুকী সাহেব ওনাদের গুড বুকে নাম উঠতে পারেনি। কারণ একটাই - তিনি ৩২ নম্বর বাড়ি পুড়ানোর পর ফেসবুকে একটা স্টেটাস দিয়েছিলো।

এই লাল বাহিনী মাস্টারমাইন্ডের প্রধান প্রতিপক্ষ হচ্ছে, শেখ মুজিব, ৭১, এবং এই সম্পর্কিত সব কিছু।

কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, এই লাল বাহিনী, আসল পরিচয় গোপন করে, সাধারণ জনগণকে ধোঁকা দেয়ার জন্য। আন্দোলন চলাকালীন বঙ্গবন্ধুর ভাষনের, বিভিন্ন ফুটেজ, মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ ব্যবহার করে।

অনেকেই এই লাল বাহিনী এবং এদের নেতাদের দেশের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দায়বদ্ধতা, ভালোবাসার কথা চিন্তা করে আবেগে আপ্লুত হয়েছিলেন। ক্ষমতার হাতবদলের মূহর্ত থেকে এখন পর্যন্ত এই লাল বাহিনীর কর্মকান্ডে এইটা অন্তত পরিস্কার, আন্দোলন চলাকালীন বঙ্গবন্ধুর ভাষনের, বিভিন্ন ফুটেজ, মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ ব্যবহার ছিলো " পরিপূর্ন মুনাফেকি"।

এই লাল বাহিনী এবং এদের ফলোয়াররা, আরো বলতো, আওয়ামীলীগ সরকার, বঙ্গবন্ধুকে দলীয় নেতা, দলীয় পিতা, জয় বাংলা কে দলীয় স্লোগান, সব কিছু বঙ্গবন্ধুর নাম, বাকি জাতীয় নেতাদেরকে মূল্যয়ন করে না, এমন অনেক অভিযোগ। এই অভিযোগ বঙ্গবন্ধুকে যার ভালোবাসে তাদেরও ছিলো, স্বীকার করতে হবে এগুলো সবই সত্য ছিলো, অনেকক্ষেত্রে বাড়াবাড়িও ছিলো। তবে ভিন্নতা হচ্ছে, এক গ্রূপের অভিযোগ ছিলো আক্ষেপ থেকে, ভালোবাসা থেকে , আরেক গ্রুপের অভিযোগ ছিলো মুনাফেকি থেকে।

আল্লাহ মুনাফিক থেকে আমাদেরকে, আমাদের দেশকে হেফাজত করুন।

রেস্পেক্ট : BNP নেতা রিজভিকে। তিনি বলেছেন "বঙ্গবভন থেকে শেখ মুজিবের ফটো সরানো উচিত হয় নি"




All Comments